প্রিন্ট এর তারিখঃ Jun 21, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ May 27, 2025 ইং
ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য, রাষ্ট্রদূতকে তলব

ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য, রাষ্ট্রদূতকে তলব
যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ২০ মে মঙ্গলবার হাউজ অব কমন্সে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা ইসরাইলের সঙ্গে নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০৩০ সালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রোডম্যাপের অধীনে সহযোগিতা পর্যালোচনা করা হবে, এবং এই সিদ্ধান্তের পেছনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কর্মকাণ্ড দায়ী।
ডেভিড ল্যামি আরও জানান, ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে ফরেন অফিসে তলব করে গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে ইসরাইলের অবরোধকে ‘অসহনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গাজায় চলমান সংঘাত বর্তমানে ‘অন্ধকারের নতুন অধ্যায়ে’ প্রবেশ করেছে। গত সোমবার মাত্র ১০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার দিকে যেতে পেরেছে, যা অত্যন্ত ‘অপ্রতুল’।
ল্যামি অভিযোগ করেন, ইসরাইলের বর্তমান সরকার ‘বিশ্বের কাছে ইসরাইলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’ করছে এবং সেসব কাজ ও বক্তব্য অব্যাহত রেখেছে যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অগ্রহণযোগ্য। তিনি ইসরাইলের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গাজা যুদ্ধের কারণে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ডই আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।’
এদিকে, ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানায়। তাদের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন সামাজিক মাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘বাইরের চাপ ইসরাইলকে তার অস্তিত্ব রক্ষা ও শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ থেকে সরিয়ে নিতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, আলোচনা স্থগিত হওয়ার আগে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কোন অগ্রগতি হয়নি এবং তারা যদি ইসরাইলবিরোধী মনোভাবের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে চায়, তবে সেটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
এছাড়া, গাজার অবরোধ এবং সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেয়ার হুমকি দিয়েছে। গত ১৮ মে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ১০ সপ্তাহের অবরোধের পর কিছু ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ছিল।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ সংবাদ ৭১ বিডি